আপত্তিকর ছবি প্রকাশে চটেছেন ঐশ্বরিয়া
বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা ও বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সৌন্দর্য্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তার নীল চোখে মুগ্ধ নেট দুনিয়া। নিজের সৌন্দর্য আর অভিনয় দক্ষতায় জয় করেছেন কোটি কোটি দর্শকের হৃদয়।
কিন্তু বলিউডের এই অভিনেত্রী এবার ব্যক্তিত্বের অধিকার কার্যকর করার দাবি নিয়ে হাজির হয়েছেন হাইকোর্টে। আজ মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অনুমোদন ছাড়া অভিনেত্রীর ছবি ব্যবহার করা নিয়েই মূলত আদালতে যাওয়া এ বলিউড তারকার।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঐশ্বরিয়ার আইনজীবী আদালতে তার ছবিগুলো অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার করার ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ছবি, নাম ও কণ্ঠস্বর কোনোরকম ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে ব্যবহার যেন করা না হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এর আগে গত বছরও একই আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়ার শ্বশুড় অমিতাভ বচ্চন। তারপর গত ২৫ নভেম্বর থেকে বলিউডের বিগ বি’র কণ্ঠস্বর বা ছবি অনুমোদন ছাড়া ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে ঐশ্বরিয়ার আইনজীবী সন্দীপ শেঠি আদালতে অভিনেত্রীকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া এআই-জেনারেটেডে কনটেন্টও তুলে ধরেন। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ঐশ্বরিয়ার নাম ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করছে। ইউটিউবের স্ক্রিনশটগুলোয় যেসব ছবিগুলো সম্পাদিত করা হয়েছে, তা মূলত ঐশ্বরিয়ার নয়। তিনি কখনো এ ধরনের ছবির অনুমোদন দেননি। সবই এআই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
আইনজীবি আরও বলেন, ঐশ্বরিয়ার ছড়িয়ে পড়া আপত্তিকর ছবিগুলো ভুয়া। তার ছবি ব্যবহার করে কফি মগ থেকে শুরু করে টি-শার্ট তৈরি হচ্ছে। কোনো ব্যক্তি শুধু তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছেন। কারও যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণে তার ছবি ব্যবহৃত হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক।
পোশাকবিক্রেতা, বই প্রকাশনী সংস্থাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া। একটি সংস্থা তার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে, আবার তাদের লেটারহেডে চেয়ারপারসনের জায়গায় অভিনেত্রীর নাম। এ নিয়েই বিরক্ত বলি তারকা।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
এদিন বিচারপতি তেজাস কারিয়া অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার কৌঁসুলির আবেদন শোনেন। শিগগিরই এ মামলার ইনজাংশন জারি করা হবে বলে আভাস দিয়েছেন বিচারপতি।