আসন পুনর্বহালের দাবিতে মোংলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত
বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে মোংলা বন্দরজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হতরতাল পালিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু হয়ে চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। হরতালে উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং হরতাল সফল করতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভাও করেছে নেতাকর্মীরা।
চারদিনের কর্মসূচির মধ্যে সোমবার সকাল ৬টা থেকে নদী পারাপার, ইপিজেড, মোংলা বন্দরসহ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসেরকারি অফিসসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ও সড়ক অবরোধ করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কর্মসুচি চলমান থাকবে। প্রথম দিনে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, মঙ্গলবার বিক্ষোভ এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার একটানা ৪৮ ঘণ্টা আবারও হরতাল পালন করার ঘোষণা দিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা।
হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সোমবার সকাল ৬টা থেকেই মোংলার সকল দোকানপাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। বন্ধ ছিল নদী পারাপারের ট্রলারও। বন্ধ ছিল সারাদেশের সঙ্গে মোংলা বন্দর, ইপিজেড ও শিল্পাঞ্চল থেকে সড়কপথে পণ্য পরিবহন। এ ছাড়া মোংলা বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি খুলনা-যশোর-বাগেরহাট ও ঢাকা চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার কোনো বাস।
ভোর থেকেই হরতাল সফল হওয়ার জন্য সড়ক-মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা বসে থেকে হরতাল পালন করেন। শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভাও করেছেন তারা।
জানা যায়, গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলার চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা। তার বিপরীতে গেলো ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। তবে যদি নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা।
নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাকর্মীরা।