সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে ফরিদা পারভীনের পরিবার

বিনোদন প্রতিবেদক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪২
শেয়ার :
সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে ফরিদা পারভীনের পরিবার

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও গেল ২ সেপ্টেম্বর আবার এই শিল্পীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শিল্পীকে বিদেশ নিয়ে যেতে চান তার বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপল।

তার চাওয়া, ফরিদা পারভীনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে সরকার যেন উদ্যোগী হয়। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে শিল্পীর পরিবার।

উপল বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে তার মায়ের চিকিৎসার সব খরচ বহন করা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফরিদা পারভীনের আর্থিক ক্রাইসিস না থাকলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হত, অন্য বড় হাসপাতালে নেওয়া হত। বারবার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় কেন এই কারণ তো জানতে চায় না কেউ। সরকার থেকে উনাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হোক এটা আমার চাওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফরিদা পারভীনের অর্থসম্পদ বলতে উনার কুষ্টিয়ার বাড়ির ভাড়া আর গান থেকে যে আয় আসত। বলতে লজ্জার কিছু নেই- আমাদের আর্থিক সমস্যার কথা। উনার ছেলেমেয়েরা সবাই চাকরীজীবী। আমাদের বেতন থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপল বলেন, ‘আমরা বারবারই বলছি সরকার যদি চিকিৎসায় সহযোগিতা করতেন, দেখতেন কোন জায়গায় পাঠালে মায়ের ভালো চিকিৎসা হবে। তাহলে মা এই যাত্রায় বেঁচে যেতেন।’

এদিকে, গত ২ সেপ্টেম্বর ডায়ালাইসিস করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ফরিদা পারভীন। ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই তো কিডনি জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। উনাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। মঙ্গলবার ডায়ালাইসিসের পর উনার বমি শুরু হয়, হিমোগ্লোবিন কমতে থাকে এবং উনার “ইন্টার্নাল ব্লিডিং” হয়। তারপর দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়। উনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, এবারের অবস্থা আগে থেকে কিছুটা জটিল।’

চিকিৎসক আশীষ আরও বলেন, ‘কিডনি ফেইলিউর কোনো রোগীর অবস্থা নিয়ে আগে থেকে বলা যায় না। উনি যখন জুলাই মাসে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বলেছিলাম উনার হয়ত আবারও হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। আমরা উনার সুস্থতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’