পূজা উপলক্ষে গাঁজা-মদের আসর বসানো যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:০২
শেয়ার :
পূজা উপলক্ষে গাঁজা-মদের আসর বসানো যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় গাঁজা ও মদের আসর বসানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সচিবালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা পূজামণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। পূজা উপলক্ষে আশেপাশে যে মেলা বসে সেখানে মদ ও গাঁজার আসর বসে। এবার মেলায় এসব হবে না। গাঁজা ও মদের আসর বসানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‌‘এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, তাদের মধ্যে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তারা অঙ্গীকার করেছেন যে এটা খুবই ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের যে একটা বড় ভূমিকা আছে। ২৪ ঘণ্টা যাতে মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকে, সে জন্য দিনে তিনজন করে, রাতে চারজন করে থাকবেন। তারাও ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন দুর্গা পূজায় মণ্ডপে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে একটি অ্যাপ চালু করা হচ্ছে।  কোনো পূজামণ্ডপে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এ অ্যাপের মাধ্যমে তা সেখানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সচিত্র জানিয়ে দেবেন। এর ভিত্তিতে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নেবেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।’

তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এটি (দুর্গাপূজা) খুবই ভালোভাবে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের যে একটি বড় ভূমিকা হলো, তারা পুরা সময়টা দেখার জন্য দিনে তিনজন রাতে চারজন লোক দেবেন যাতে মণ্ডপটা ২৪ ঘণ্টা পুরো অবজারভেশনে থাকে। আমাদের আনসার সদস্যও থাকবেন। তারাও পর্যবেক্ষণ করবে যাতে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।’

আপনারা বলেছেন যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তারা পূজাটাকে উপলক্ষ হিসেবে নেবে কিনা- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা দুষ্কৃতকারী তারা সব জায়গায় দুষ্কর্ম করার চেষ্টা করে। এটা শুধু পূজা নয় সব জায়গায় করার চেষ্টা করবে। এটা প্রতিহত করার দায়িত্ব হলো আমাদের, আপনাদের, আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলে এটি প্রতিহত করব।’

পূজার আগে প্রতিমা বানানোর সময় অনেক সময় ভাঙচুর হয়। সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিভেনটিভ (প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা) তো শুরু হয়ে গেছে।’