বাগেরহাটে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির হরতাল চলছে
বাগেরহাটে সংসদীয় আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকে সারাদিনব্যাপী হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের শুরুতেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাগেরহাট জেলার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়, যা চলবে সন্ধ্যা ৪টা পর্যন্ত। হরতালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা সকাল থেকেই বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নির্বাচন অফিস এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। তারা নির্বাচন কমিশনের সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেট বাতিলের দাবিতে স্লোগান দেন।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির জেলা সমন্বয়ক ও সাবেক জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাট জেলার চারটি আসনের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে তিনটি আসনের খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করে। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে আমরা একটি সম্মিলিত কমিটি গঠন করে শুনানিতে অংশ নেই এবং চারটি আসন বহালের দাবি জানাই। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার কমিশন তিনটি আসন রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালে জেলাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, বেআইনি ও জনবিরোধী। বাগেরহাটবাসীর সঙ্গে এটি চরম অবিচার।’ তিনি অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পূর্বের মতো চারটি আসন বহালের দাবি জানান।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আমরা লাগাতার হরতাল ও জেলা অবরোধে যেতে বাধ্য হবো।’
তিনি সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহাল না করা হলে জেলার সঙ্গে দেশের সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
হরতালে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি নেতা ফকির তারিকুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল হক রাহাদ, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, অধ্যক্ষ আব্দুল আলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ।
শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হলেও জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ছিল।