প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমছে ছুটি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি থাকছে। তবে শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি পূরণ ও পাঠদানের সময় বাড়াতে বার্ষিক অন্যান্য ছুটি কমানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, স্কুল বছরে মাত্র ১৮০ দিন খোলা থাকে। অথচ ক্যালেন্ডারে অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি আছে। এগুলো কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
বর্তমানে বছরে গড়ে ৭৫ দিন ছুটি দেওয়া হয়। আন্দোলন, দুর্যোগ ও প্রশাসনিক কারণে ছুটি আরও বেড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি বাড়ছে। এ জন্য ১৬ থেকে ২০ দিন কমিয়ে বার্ষিক ছুটি ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নামানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করার বিষয়ে
জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এখন শুধু ক্যালেন্ডারের অন্য ছুটি কমানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটি সব স্তরের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদা পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে ছুটির ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে।
গত মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় দুই দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এখনও সম্মতি দেয়নি।
একজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলন, দুর্যোগ বা বিশেষ কারণে স্কুল বন্ধ থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে থাকতে পারে না। এ জন্যই ছুটি কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পাঠদানের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের যেন অন্য কাজে ব্যস্ত রাখা না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রস্তাবটি পর্যালোচনায় আছে। অনুমোদন মিললেই সরকার ঘোষণা দেবে।
আরও পড়ুন:
ছায়ানটের বার্ষিক লোকসংগীত আসর
সংবাদ সম্মেলনে মিড ডে মিল কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। উপদেষ্টা জানান, কাজ এগোচ্ছে। ১৫০টি উপজেলায় শিগগির চালু হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে।