ক্ষমা চাইলেন সোহেল রানা

বিনোদন ডেস্ক
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২৫
শেয়ার :
ক্ষমা চাইলেন সোহেল রানা

ঢাকাই সিনেমার যেসব কিংবদন্তি শিল্পীরা প্রয়াত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও যারা অসুস্থ আছেন তাদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

‘স্মৃতির আয়নায় কিংবদন্তির দৃশ্য’ শিরোনামের অনুষ্ঠানটি আজ রবিবার বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী কোরআন খতম, স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে শিল্পী সমিতি।

এরপর দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী সোহেল রানা, আলমগীর, আনোয়ারা, শবনম, খালেদা আক্তার কল্পনা, আহমেদ শরীফ, নূতন, নাঈম-শাবনাজ, বাপ্পারাজ-সম্রাট, রাশেদা আক্তারসহ পরের প্রজন্মের অনেক জনিপ্রয় তারকা স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত কিংবদন্তি তারকাদের।

সেখানেই সহকর্মী, দেশবাসী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা।

বিএফডিসির আয়োজনে সোহেল রানা বলেন, ‘কে কখন চলে যাব, নিশ্চিত না। এই সুযোগে আমার সাথে যারা কাজ করেছে, আর যারা ভবিষ্যতে কাজ করবে, যারা চলচ্চিত্র জগতে আসবে, তাদের সঙ্গে আমি যদি কোনো ভুল-ত্রুটি কিংবা অন্যায় করে থাকি, আজ এই মুহূর্তে আমি এই সুযোগটা নেব, আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ আমি কখন মরে যাব, জানি না।

তিনি আরও বলেন, তারা যেন আমার ভুল-ত্রুটি অন্যায়গুলোকে ক্ষমা করে দেয়। এবং আমার জন্য দোয়া করেন, যাতে আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে, যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেছি, ভুল যে কিছু হয়নি তা নয়, হয়তো ভুল অনেক করেছি। আমি ভুলের জন্য তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে যাব, সেই সময়ে যেন আমি নীতি বা আদর্শ নিয়ে সঠিক মুসলমান হিসেবে আল্লাহর কাছে যেতে পারি, সে জন্য সকলের কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি।’

জানা গেছে, এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন শিল্পী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, কোষাধ্যক্ষ কমল পাটেকর, কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নু, রুমানা ইসলাম মুক্তি, রিয়ানা পারভীন পলি, সনি রহমান ও অভিনেতা শিবা শানু।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে পারভেজ ফিল্মস নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা গড়েন সোহেল রানা। প্রায় ৩০টির বেশি চলচ্চিত্র তিনি প্রযোজনা করেন। নায়ক খ্যাতির আড়ালে ঢাকা পড়ে তার প্রযোজক পরিচয়। সোহেল রানা নাম ধারণ করে লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র একটি গল্প অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। একই সিনেমার মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।

‘এপার ওপার’, ‘দস্যু বনহুর’, ‘জীবন নৌকা’ সোহেল রানার শুরুর দিকের সিনেমা। প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘লালু ভুলু’, ‘অজান্তে’, ‘সাহসী মানুষ চাই’ এই তিন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।