আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রবিবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এত দিন যেমন ছিল, সাম্প্রতিক কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব, সেটা কিছুটা খারাপের দিকে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুতই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।’
উপদেষ্টা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বচ্ছতার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা চালানোরও নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে মাথা ঠাণ্ডা রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। আমরা কাজ-কর্মে যত স্বচ্ছ থাকব, সাধারণ জনগণের কাছে তত আস্থা অর্জন করতে পারব।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন শান্তি ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের বাজে নির্বাচন ভুলে গিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে সমাজ থেকে দুর্নীতি ও মাদক কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
অপারেশন ডেভিল হান্ট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট না থাকলেও এর কর্মতৎপরতা বন্ধ হয়নি। প্রত্যেক থানায় ফ্যাসিস্টদের তালিকা রয়েছে এবং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। জামিনে ছাড়া পাওয়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা থেকে লুট হওয়া/হারানো/অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক, জুয়া ও মেলার অনুমতি বন্ধ থাকবে। সড়ক ও পরিবহনে, বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সামনের দুর্গাপূজায় যাতে নির্বিঘ্ন হয়। গত বছরের মতো এ বছরও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের পর যে নতুনভাবে পুলিশ গড়ে তোলা হয়েছে, তার চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে জাতীয় নির্বাচন।’
আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। পরে উপদেষ্টা নির্বাচন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।