আতঙ্কের নগরী গাজা /
ধ্বংস করা হচ্ছে বহুতল ভবন
ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে আরও বহুতল ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হয়েছিল- ভবন খালি না করলে তাদের হত্যা করা হবে। চলমান অবরোধ ও গণ-অনাহারের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটল।
শনিবার ইসরায়েলি সেনারা একটি মানচিত্র প্রকাশ করে গাজার আরও কয়েকটি বহুতল ভবনকে সম্ভাব্য হামলার টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মানচিত্র প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই তারা ১৫ তলা সুচি টাওয়ারে বোমা ফেলে। ভবনটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর একটি ভবনের বিপরীতে, তাল আল-হাওয়া এলাকায় অবস্থিত।
আল জাজিরার গাজা সিটি প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের হামলা মানুষের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে ভবন খালি করার জন্য যে সময় দেওয়া হয় তা একেবারেই অপ্রতুল। আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা সময় এ ধরনের বড় ভবন থেকে সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ইসরায়েলি সেনারা এক বিবৃতিতে দাবি করেছে- যেসব ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হামাসের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। এছাড়া তারা অভিযোগ করেছে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো ওই এলাকায় বহুসংখ্যক বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল এবং একটি গোপন সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় ইসরায়েলের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এগুলো দখলদার বাহিনীর একটি সাজানো বিভ্রান্তিমূলক নীতি, যার মাধ্যমে তারা বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানানোকে বৈধতা দিতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েল ইতোমধ্যেই গাজার ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
শনিবার যেসব ভবনকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলো ছিল ১২ তলা মুশতাহা টাওয়ারের কাছাকাছি। শুক্রবার ওই টাওয়ারে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজা সিটির দখল নিতে অগ্রসর হচ্ছে।