সালমান শাহকে স্মরণ করলেন দীঘি
শুক্রবার। ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ সাল। আট দশটা স্বাভাবিক দিনের মতো পেরিয়ে যাচ্ছিল সেদিনের সময়। সেদিন বিকালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫টার সংবাদে ভেসে আসে সালমানের মৃত্যুর খবর। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে সালমান শাহর। ভক্তরা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না মহানায়কের এই প্রস্থান। তার মৃত্যুর পর ঢালিউডে নেমে আসে ধস।
বছর ঘুরে দিনটি ফিরে এলেই অনুরাগী ও সহকর্মীদের হৃদয় বেদনার নীল জলে ভেসে যায়। শোক হয়ে ওঠে স্রোতস্বিনী কোনো নদী।
দিনটিতে ব্যথিত হৃদয়ে সালমানকে স্মরণ করেন তার ভক্তবৃন্দ ও শোবিজ তারকারা। অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি আছেন এ তালিকায়।
আজ শনিবার স্বপ্নের নায়ক হারানোর দিনে দীঘি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করেছেন একটি পোস্ট।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে দীঘি লিখেছেন, সময় যেন থমকে গিয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর। মাত্র কয়েক বছরের চলচ্চিত্রজীবন, অথচ তার প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি সংলাপ আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে।
এরপর লেখেন, তিনি ছিলেন শুধুই একজন অভিনেতা নন, তিনি ছিলেন এক আবেগ, এক ভালোবাসা, এক প্রজন্মের স্বপ্নদ্রষ্টা। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘তুমি আমার’—প্রতিটি ছবিতে তিনি যেন নিজের হৃদয় ঢেলে দিয়েছিলেন। সালমান শাহ নেই, কিন্তু তার কাজ, তার স্মৃতি, তার হাসিমাখা সেই মুখ—সবকিছু আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। মৃত্যুর পরও তিনি অমর হয়ে আছেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬- মাত্র চার বছর ছিল সালমান শাহর অভিনয় জীবন। স্বল্প এই সময়ে তিনি পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। অল্পদিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নাই’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘দেনমোহর’। এ ছাড়া টিভি নাটকেও দেখা গেছে সালমান শাহকে।