রাজধানীতে জশনে জুলুসে মানুষের ঢল
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুসে মানুষের ঢল নেমেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়।
এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলসহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে সমবেত হন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন মাজার ও খানকার প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে আলাদা আলাদা মিছিল যুক্ত হয় এই জশনে জুলসে।
রাজধানীতে এবার সবচেয়ে বড় জশনে জুলসের আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া দরবার শরিফের ভক্তরা। তাদের দুটি অংশের একটি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমদের বড় ছেলে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ছোট ছেলে সৈয়দ শহিদ উদ্দিন আহমদের অনুসারীরা সমাবেশ করছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী মাইজভান্ডারী। উৎসবমুখর এ আয়োজনে জাতীয় ও কালেমা খচিত পতাকা এবং বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন ভক্তরা। এ সময় মহানবী (সা.) এর স্মরণে বিভিন্ন নাতে রাসুল পরিবেশন করা হয়।
জুলুসটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দির গেট দিয়ে বের হয়ে দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা হয়ে পুনরায় কালী মন্দির গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়। এতে উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন দরবারের পীর-মাশায়েখ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা, শীর্ষস্থানীয় আলেমে দ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক-শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অপরদিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে আয়োজনে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ইসলামী আলোচক ড. আহসান উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন শহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী। আলোচন ও সেমিনারে মহানবী (সা.) জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। এ সময় মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন আগতরা।
এ ছাড়া রাজধানী ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন মাজার ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় জুশনে জুলুস অুনষ্ঠিত হয়।