ছুটির দিনে জমজমাট প্রচার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের বাকি আর তিন দিন। ভোটার টানতে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা শিক্ষার্থীদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। গতকাল হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলে জুমার নামাজ আদায় করেন ছাত্রদল মনোনীত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ভোট চান তিনি। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে নেমেছে ও সাইবার বুলিং করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েও ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে ছাত্রদল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক হলে নামাজ আদায় করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালান। এর পর তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ১০০ দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মাস্টারদা সূর্য সেন হলে জুমার নামাজের পর প্রচার শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের ও ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। দুজনকে প্রচারপত্র বিলি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। পরে দুজনই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। অনলাইনে বুলিং, ব্যক্তি আক্রমণ ও গালিগালাজ করে বিপর্যস্ত করার অভিযোগ করে আবদুল কাদের বলেন, ৫ আগস্টের আগে ভিন্নমতের কারণে মারধর করা হতো। এখন অনলাইনে বুলিং হচ্ছে। গায়ে হাত তোলার চেয়ে অনলাইনে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ আরও বিপর্যস্ত করে দেয়।
এর আগে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম সাংবাদিকদের বলেন, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের লক্ষ্য- শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ অতিক্রম করলেও কার্যকর পরিকল্পনার অভাবে অনেক মৌলিক সমস্যা থেকে গেছে।
হলের খাবারের মান উন্নয়ন, দাম নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও মিল ভাউচার সিস্টেম চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেন সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত খাবার পান, সে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান আবু সাদিক কায়েম।
আরও পড়ুন:
ছায়ানটের বার্ষিক লোকসংগীত আসর