সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের গেজেট বাতিল না হলে রাজপথে আন্দোলন: হেফাজত
প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষক বাদ দিয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের গেজেটকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যায়িত করে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান অবিলম্বে এ গেজেট বাতিল করে প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা করার দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।=
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাছাড়া সঙ্গীত কোনো মৌলিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশে মুসলিম অভিভাবকদের মতামত না নিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষায় সঙ্গীত শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কোনো সরকারের নেই। অবিলম্বে এই গেজেট বাতিল করে প্রাথমিক স্তরে সঙ্গীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা করা না হলে আমরা দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে ইসলামী মূল্যবোধ ও ঈমান রক্ষার রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলব। ’
নেতারা আরও বলেন,‘এলজিবিটি ও গানবাদ্য ঢুকিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিশুকিশোরদের ইসলামী মূল্যবোধ থেকে দূরে রাখার ডি-ইসলামাইজেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমল থেকেই ছিল। দুঃখজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগে সেই পুরনো ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে নেমেছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চেপে বসা পাশ্চাত্যের উচ্ছিষ্টভোগী কিছু সুশীল এনজিওকর্মী।’
হেফাজতে ইসলামের নেতারা আরও বলেন, ‘সকল ইসলামী দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি অনেক পুরনো। সেটি বিভিন্ন সরকার উপেক্ষা করায় অনেক অভিভাবক এখন স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন। সরকারের উচিত, প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অগণিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও আলেম শহিদ হয়েছেন। তাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ কিছু করণীয় অবশ্যই সরকারের রয়েছে। আমরা আশা করি সঙ্গীত শিক্ষকের পরিবর্তে সরকার দ্রুত প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা করবে। আমরা চাই না আলেম-ওলামার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।’