খেলার সময় কিশোরকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ
পারিবারিক বিরোধের জেরে মোরসালিন (১১) নামের এক কিশোরকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে একটার দিকে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে আটক করে গণধোলাই দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। পরে তাদেরকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং শাওন ও তার মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত মোরসালিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের নির্মাণশ্রমিক রাজু আহমেদের ছেলে। আটক শাওন একই গ্রামের আইনজীবী সহকারী আবু সাঈদের ছেলে।
রাজু আহমেদ জানান, তার সঙ্গে প্রতিবেশী আইনজীবী সহকারী আবু সাঈদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। তার ছেলে মোরসালিন গত বছর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আবু সাঈদ বিভিন্ন সময়ে তাকেসহ গ্রামের নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করে। আজ শুক্রবার দুপুরে শাওন ও মোরসালিন একইসঙ্গে গোসলে গেলে পুকুরে কলা গাছের ভেলায় চড়ছিল। দুপুর পৌনে একটার দিকে মোরসালিন বাড়ি যাওয়ার জন্য ভেলা থেকে নামতে গেলে শাওন বাধা দেয়। একপর্যায়ে মোরসালিনকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে শাওন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, মফিজুর রহমান শাওন একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। পুকুরে গেসল করার সময় ভেলা চড়ার একপর্যায়ে মোরসালিনকে পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলে। এ ঘটনার পর শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।