রাজশাহীতে মাইজভান্ডারীর খানকা গুঁড়িয়ে দিল জনতা

রাজশাহী ব্যুরো
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:২৯
শেয়ার :
রাজশাহীতে মাইজভান্ডারীর খানকা গুঁড়িয়ে দিল জনতা

রাজশাহীর পবা উপজেলায় আজিজ ভান্ডারী নামের একটি খানকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে দরবার শরীফের নামে মাদকের হাট বসতো। তাই বিক্ষুদ্ধ জনতা এটি ভেঙ্গে দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজের পর স্থানীয় তৌহিদী জনতা ও মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে লাঠিশোটা দিয়ে হামলা চালায়। তারা পুরো মাজার গুড়িয়ে দেয়।

জানা গেছে, ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডারি দরবারের পীর গোলামুর রহমানের খেলাফতপ্রাপ্ত পবার আজিজুল ইসলাম। তিনি খেলাফত নিয়ে নিজে তার ভক্তদের বায়াত দিয়ে থাকেন। পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে তিনি মাইজভাণ্ডারী নামে একটি খানকা করেছেন। সেই খানকা গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুবদ্ধ জনতা।

আজিজুল ইসলাম মাইজভাণ্ডারির জামাতা বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রতিবছরে ন্যায় এবারো খানকা শরিফের পক্ষ থেকে তিন দিনের ওয়াজ, তরাবরক বিতরণ ও ওরশ শরীফের আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ভক্তদের আগমন, দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আজ শুক্রবার ওয়াজ মাহফিল ও তবারক বিতরণ এবং আগামীকাল শনিবার আয়োজন করা হয়েছিল ওরশ শরীফের। আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রচারণা চলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আহলে হাদিস সংগঠন ও তাদের অনুসারী মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে হামলা চালানো হতে পারে এই খবর আমরা আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবগত ছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর হঠাৎ করে দলে দলে লোকজন লাঠিশোটা নিয়ে খানকা শরীফে হামলা চালায়। যদিও এর আগে হামলার খবর জানতে পেরে দরবার শরীফের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে পুরো খানকা শরীফ হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘দরবার শরীফের নাম করে সেখানে মাদকের হাট বসতো। প্রকাশ্যে গাজাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা হতো। এছাড়া প্রতিনিয়ত অনৈসলামিক ও বেদআতের মতো অনেক কাজই সেখানে করা হতো। এজন্য স্থানীয় জনতা এটি ভেঙ্গে দিয়েছে। যাতে সেখানে আর কোনোদিন মাদকের হাট না বসে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় জনতা ওই খানকা শরীফ ভেঙ্গে দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’