ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার অবনতি
ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, আজ দিনের যেকোনো সময় আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে ফরিদা পারভীনকে।
তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা আছে। আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তার সুস্থতার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।
সপ্তাহে দুই দিন ফরিদা পারভীনের ডায়ালাইসিস করাতে হয়। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এরপর থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন শিল্পী।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল বলেন, আম্মাকে ডায়ালাইসিস করতে নিয়ে এসেছিলাম। এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। তারপর তো আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়।
এর আগে ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম বলেছিলেন, সার্বিকভাবে তার অবস্থা খুব একটা ভালো না। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে চারবার আইসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ফুসফুস আর কিডনিজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল থাকে। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি পান না। হাঁটতেও পারেন না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা রয়েছে তার। বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা৷ লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন৷ ক্লাসিক ও আধুনিক গানেও নন্দিত তিনি। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন।
এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’