দামি ঘড়ি-আইপ্যাড দেখে লোভ হয়েছিল /

‘প্রলোভন’ জয়ের গল্প লিখলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৮
শেয়ার :
‘প্রলোভন’ জয়ের গল্প লিখলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

জনপ্রতিনিধিদের সততা ও নির্লোভ থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে ‘প্রলোভন’ শিরোনামে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

আজ শুক্রবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে জনপ্রতিনিধিদের সততা ও নির্লোভ থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।

পোস্টে জ্বালানি উপদেষ্টা লিখেন, ‘কিছুদিন আগে শ্রীলংকায় এক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গেলে সেখানকার বিদ্যুৎমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমাকে একটি উপহার প্রদান করা হয়। হোটেলে ফিরে গিফট বক্স খুলে দেখি একটি দামি ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি। ঘড়িটি আমি হাতে পরি, পছন্দ হয়, লোভ হয়। দেশে ফিরে এসে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি লিখে ঘড়িটি তোষাখানায় জমা দেয়ার জন্য পাঠাই।’

সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা লেখেন, ‘গত পরশু আবার এক ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রধান (আদানি নয়) আমার সঙ্গে দেখা করেন, আমাদের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে। দীর্ঘদিনের পাওনা বকেয়া পরিষদ করায় কৃতজ্ঞতা জানতে এসেছেন। ফেরার সময় বলেন সামান্য উপহার নিয়ে এসেছি। আমি তাকে বলি উপহার গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি নির্ধারিত মূল্যসীমা আছে। উপহারটি খুলে দেখি একটি আইপ্যাড। বাসার আইপ্যাডটি পুরনো হয়ে গেছে, তাই লোভ হয়। আইপ্যাডটি তাকে ফিরিয়ে দেই। পাশে সোফায় বসে আমার কাণ্ড দেখে অন্য একজন উপদেষ্টা মিটিমিটি হাসছেন।’

তবে সব উপহার তিনি ফিরিয়ে দেন না উল্লেখ করে লিখেন, ‘কোনো উপহারই গ্রহণ করি না, এমন নয়। বিদেশি মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতরা দেখা করার সময় সুভেনির, বই নিয়ে আসেন। অবাণিজ্যিক পণ্য বা মূল্যসীমার মধ্যে কোনো খাবার, যেমন- চকোলেট। সেগুলো গ্রহণ করি। বিনিময়ে তাদের নিজের লেখা বই উপহার দেই। ভাগ্যিস কয়েকটা বই লিখেছিলাম!’

সব শেষে তিনি লিখেন, ‘আমার মনে হয়েছে, প্রলোভনের ঊর্ধ্বে ওঠাই জনপ্রতিনিধিদের প্রধান কাজ। এটা করতে পারলেই অন্য সব কাজ সহজ হয়ে যায়। আশা করি আসন্ন নির্বাচনে জনগণ নির্লোভ জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবেন।’