অপহরণের পর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাতিয়ে নিল যুবকের ৩ লাখ টাকা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আতিকুর রহমান (২৬) নামের এক যুবককে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে সঙ্গে থাকা তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে মহাসড়কের পাশে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত আতিকুর বড়াইগ্রামের লক্ষ্মীকোল মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিকাশের কর্মী বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, অপহরণের সময় ঘটনাস্থল থেকে সালেহ আহম্মেদ সাইফুল (৫৫) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিকাশ কর্মী ফারুক খান ও সুজন আহম্মেদ জানান, আতিকুরসহ তারা তিন জন সকাল ১০টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে বনপাড়া বাইপাস এলাকায় বিকাশের অফিস থেকে বের হয়ে পেশাগত কাজে মৌখাড়া হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নটাবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া কবরস্থানের পাশে সাত-আটজন ব্যাক্তি হাতে পিস্তল ও হ্যান্ডকাফসহ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাদের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করেন। এ সময় পাশে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস দাঁড়ানো ছিল এবং তাদের সবারই পায়ে একই রকম জুতা, পুলিশের পোশাকের প্যান্ট ও সাদা শার্ট পরা ছিলো।
পরে মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা আতিকের হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। তাকে কেন আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে থানায় গিয়ে কথা বলতে বলেন এবং দ্রুত মাইক্রোবাস চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অপহরণকারী চক্রের সদস্য সাইফুল আতিকুরের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন ফারুক ও সুজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, অপহৃত ব্যক্তি টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে আনার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি অপর আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।