উপদেষ্টাদের নাম ভাঙিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ, নির্মাতা ফারুক রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৫
শেয়ার :
উপদেষ্টাদের নাম ভাঙিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ, নির্মাতা ফারুক রিমান্ডে
ছবি : সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি টাকা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নামে নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন ফারুকের তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে প্রতারণার মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এই রিমান্ডের আদেশ দেন। ‎মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. হারুনুর রশিদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ‎আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল হক চৌধুরী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

‎মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, নির্মাতা ফারুকের সাথে নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের ‎ব্যবসায়িক কারণে পরিচয় হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ফারুক জানায়, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ ও এনসিপির হাসনাত, সারজিসের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সরকারি প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্টারি প্রজেক্টে ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে। সেজন্য প্রফিট শেয়ারের অংশ হিসেবে হাসনাত ও সারজিসকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে, আর অগ্রিম হিসেবে এখনই ৫০ লাখ টাকা দেওয়া লাগবে। 

এরই প্রেক্ষিতে মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটন গত বছরের ১৯ নভেম্বর ফারুককে ৫০ লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে কাজ পাওয়ার জন্য বারবার কল দিলেও ফারুক রিসিভ করেননি। উল্টো চলতি বছরের ১৩ আগস্ট টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী বিষয়টি নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে গত ২৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় জিডি করেন হাসনাত। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটন।