রাসূল সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত, জশনে জুলুসে পীর সাবির শাহ্

অনলাইন ডেস্ক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১১
শেয়ার :
রাসূল সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত, জশনে জুলুসে পীর সাবির শাহ্

আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, ঢাকার উদ্যোগে ‘জশনে জুলুস’ ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য  আনন্দ র‍্যালি ও নুরানী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মোহাম্মদপুরের কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে এই বিশাল র‍্যালি শুরু হয়।

আওলাদে রাসূল হুজুর কেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা. জি. আ.)-এর সভাপতিত্বে আনন্দ র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালিটি মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শাহজাহান রোড, ইকবাল রোড, আসাদ এভিনিউ, আসাদ গেইট, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডি ২৭ নং রোড, সাত মসজিদ রোড, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, সাত মসজিদ সুপার মার্কেট, শিয়া মসজিদ, রিং রোড, টিকাপাড়া, মরহুম হাজী চিনু মিয়া রোড হয়ে মাদ্রাসার সম্মুখে এসে শেষ হয়।

জুলুছে শেষে মাহফিলে প্রধান মেহমান ও সভাপতির আসন অলংকৃত করেন হযরত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মাঃ জিঃ আঃ)। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা হুজুর সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশিম শাহ্ (মাঃ জিঃ আঃ) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মাঃ জিঃ আঃ)।

সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ বলেন, রাসূল (দঃ) সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত এবং আল্লাহ প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। আর আল্লাহর রহমত পাবার কারণে খুশি উদযাপন করা আল্লাহরই নির্দেশ। তাই কুরআনি নির্দেশ হিসেবেই নবীজির শুভাগমণের দিবসকে আমরা শরিয়ত সম্মতভাবে খুশী উদযাপনের মাধ্যমে পালন করি এবং জশনে জুলুস করি।’

নুরানী মাহফিলে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'র তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আল-আযহারী ও অন্যান্য ওলামায়ে কেরামরা। মাহফিল পরিচালনা করেন উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।

অনুষ্ঠান শেষে সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

উক্ত জশনে জুলুস ও নুরানী মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মনজুর আলম, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দীন সাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন, আঞ্জুমান মুখপাত্র এড. মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, ঢাকা আঞ্জুমানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বুলবুল, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গোলাম কিবরিয়া, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি শোয়েবুজ্জামন চৌধুরী তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হযরত আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, ঢাকার সেক্রেটারি মোহাম্মদ কাশেম, দেশ বরেণ্য প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক, সরকারী-বেসরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।