পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে থাকতে পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২৮
শেয়ার :
পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে থাকতে পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা

ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানরা কোনো প্রকার বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা না ছাড়াই দেশটিতে থাতে পারবেন।

আজ বুধবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি ও বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তিনটি প্রতিবেশী দেশের যেসব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়ার দাবি করে বা অভিযোগ তুলে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে আশ্রয় নেওয়ার সময়সীমা ছিল ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই সময়সীমা ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে নতুন আইনে। ‘অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫’ গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করেছে ভারত।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একগুচ্ছ গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিধিমালা জারি করে ওই দিন থেকেই আইনটি চালু করে দেওয়া হয়েছে, যদিও দেশের সংসদে এপ্রিল মাসেই তা পাস হয়েছিল।

নতুন আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগান্তিানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারা বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকলেও ভারতে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে বিধান রয়েছে। তেমনই ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ আটক ও প্রত্যর্পণের পদ্ধতি এবং ভারতজুড়েই বিদেশি ট্রাইব্যুনাল গঠনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।