খৈয়াছড়া ঝর্ণায় পর্যটকদের ওপর হামলা, আহত ১৫

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০৯
শেয়ার :
খৈয়াছড়া ঝর্ণায় পর্যটকদের ওপর হামলা, আহত ১৫

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝর্ণায় পর্যটকদের বাসে স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থেকে বাস নিয়ে ঝর্ণায় ঘুরতে আসেন একদল পর্যটক।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় বাস নিয়ে মহাসড়ক থেকে ঝর্ণা সড়কে প্রবেশ করার সময় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মিলে বাধা দিলে উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়ালে এ ঘটনা ঘটে। বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতি-সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

আহত পর্যটক বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে সংঘর্ষ বাধলেও এতে আমাদের হাসান, বিপ্লব, সাকিব, মো. হাসান, সিয়ামসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যাই। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আমরা বাস নিয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পর্যটকদের দাবি, তারা ঘুরতে এসে স্থানীয়দের দ্বারা হয়রানি ও হামলার শিকার হয়েছেন। ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ।

অন্যদিকে সিএনজি চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা শুধু বলেছিলাম বড় বাস ঝর্ণায় প্রবেশ করা যাবে না। তখন তারা ১০-২০ জন মিলে আমাদের ওপর চড়াও হন । এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি মারেন। এতে আমাদের হোরা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, ফখরুল, পাবেল, কামরুল, আরমানসহ কয়েকজন আহত হন।’

এ ঘটনায় পর্যটকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশা চালকরা ঝর্ণা থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাস থামিয়ে তাদের গাড়িতে যাওয়ার জন্য বড় বাস ঢুকতে বাধা দেন। স্থানীয়দের এসব নিয়ম-নীতি অজুহাত করে হয়রানি ও হামলার কারণে খৈয়াছড়া ভ্রমণ অনিরাপদ হয়ে উঠছে। এভাবে চলতে থাকলে মিরসরাইয়ের পর্যটন শিল্পের সুনাম মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের বাস খৈয়াছড়া ঝর্না সড়কে ঢুকার সময় সিএনজি অটোরিকসা চালকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন পর্যটকরা বাস নিয়ে চলে যায়। হামলার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’