মারা গেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা গ্রাহাম গ্রিন
কানাডার প্রখ্যাত অভিনেতা গ্রাহাম গ্রিন মারা গেছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) টরোন্টোর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি ফার্স্ট নেশনস (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের ছিলেন।
আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
গুণি এই অভিনেতার এজেন্ট মাইকেল গ্রিন বলেন, ‘গ্রাহাম গ্রিন একজন নীতিবান, আদর্শবান ও চরিত্রবান মানুষ ছিলেন। আমরা তাকে চিরকাল মিস করব।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
জানা যায়, ১৯৫২ সালে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের সিক্স নেশনস রিজার্ভের ওহসউইকেন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন গ্রাহাম গ্রিন। রেকর্ডিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সময় এক বন্ধুর উৎসাহে প্রথমবার অভিনয়ে আসেন।
সত্তরের দশকে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে কানাডিয়ান ড্রামা ‘দ্য গ্রেট ডিটেকটিভ’-এর একটি পর্বে তার টিভি অভিষেক হয়। আর ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রানিং ব্রেভ’ ছিল তার প্রথম সিনেমা।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
তার ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল কেভিন কস্টনার অভিনীত ও পরিচালিত সিনেমা ‘ড্যান্সেস উইথ উলভস’। ১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় তিনি ‘কিকিং বার্ড’ চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই সুবাদে অস্কারে মনোনয়ন পান এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগেও গ্রাহাম ব্যস্ত ছিলেন কাজে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার বেশকিছু কাজ। এ তারকার ‘থান্ডারহার্ট (১৯৯২)’, ‘ম্যাভেরিক (১৯৯৪)’, ‘ডাই হার্ড উইথ আ ভেনজেন্স (১৯৯৫)’, ‘দ্য গ্রিন মাইল (১৯৯৯)’ ও ‘দ্য টোয়াইলাইট সাগা: নিউ মুন (২০০৯)’ প্রভৃতি সিনেমা উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’