পুলিশ কবে ঠিক করবেন, সরকারকে প্রশ্ন মান্নার

অনলাইন ডেস্ক
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৬
শেয়ার :
পুলিশ কবে ঠিক করবেন, সরকারকে প্রশ্ন মান্নার

পুলিশ কবে ঠিক করবেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সে প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস তো বলেছিলেন, ‘‘আমাদের টপ প্রায়োরিটি হলো পুলিশ সার্ভিস।’ আমি আজ ১৩ মাস পর সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে পারি, কী অবস্থা এখন পুলিশের? পুলিশ কোন জায়গায় দায়িত্ব পালন করছে? পুলিশের মধ্যে তো একটা ট্রমা আছে। ভয় পায়, কোথাও যেতে চায় না। সরকারের দায়িত্ব কী ছিল? সবার আগে পুলিশ ঠিক করা। এই যে সংস্কার নিয়ে একটা কথা বলেন, অন্যকিছু ১০ বছর থাকবে, না ১৫ বছর থাকবে। লোয়ার হাউজ না আপার হাউজ আগে ঠিক করেন। পুলিশ কবে ঠিক করবেন?’

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখেন কী অবস্থা। প্রত্যেক জায়গায় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হানাহানি, কেন? এতগুলো বছর অন্যায়ভাবে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের প্রশ্ন আনছি না। কিন্তু এই সরকার আসার পর এগুলো কেন? রাতের বেলা প্রক্টর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ফেসবুকে কাঁদছেন। সারাদেশের মানুষের কাছে বলছে, আমরা অসহায়, আমাদের বাঁচান। কেউ বাঁচাতে যায়নি। তাহলে একইভাবে ভোটের দিন ক্যান্ডিডেটদের পেটাতে থাকবে, ক্যান্ডিডেটদের মারতে থাকবে, বলবে আমাকে বাঁচান, কিন্তু কেউ বাঁচাতে পারবে না।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমরা তার (ড. ইউনূস) সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাব করলাম যে, আপনার উচিত হবে সব পার্টিকে নিয়ে একটা কাউন্সিল করা। যখন যখন দরকার বসবেন, কথা বলবেন। ক্রাইসিস হবে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেভাবে দেশ চালাবেন, কিন্তু একদিনও সেটি করলেন না। যখন ক্রাইসিস হয় তখন শুধু আমাদের ডাকেন।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসকে আমি বলি, ওইরকম করে আপনার দৃঢ়তা দেখার তো কোনো দরকার নেই যে নির্বাচন হবেই। আরে আপনি বললেই তো হবে না। আপনি বললেই তো পাথর আটকাতে পারেন না, বালু আটকাতে পারেন না, ধর্ষণ আটকাতে পারেন না। কারণ আপনি যে গভর্নমেন্ট চালান সেই গভর্নমেন্ট শব্দটাকে মূলত ওভাবে জানেনও না। কারও ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আলাদা করে তিন দল, আলাদা করে সাত দলকে ডাকা রেখে একবারে সব দলকে ডাকেন। ডেকে বলেন, এটা হলো বাংলাদেশের চিত্র। আমি চাই আপনারা আমাকে সাহায্য করেন যেন এই ভোটটা আমি করতে পারি। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, যত স্টেকহোল্ডার আছে, আর্মি, পুলিশ সবাইকে ডেকে কথা বলেন।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচালের, ওই ষড়যন্ত্র জায়গা পাবে না। তারা সম্ভবত জানে না, গ্রাম এলাকায় নির্বাচনের বাতাস বইছে, ঢেউ তৈরি হয়ে গেছে। এখনই মানুষ নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা বলে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের এই অগ্রগতিটা হয়েছে যে, মানুষ এখন রাজনীতিটা বুঝতে চায়, সংস্কার বুঝতে চায়। কীভাবে দেশের ভালো হয় সেটি বুঝতে চায়?’