উত্তরা ইপিজেডে কারখানা বন্ধের জেরে সংঘর্ষ, শ্রমিক নিহত
কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে নীলফামারীস্থ উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন কোম্পানির শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিতে হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত হাবিব নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের মাছির চাক গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে ও উত্তরা ইপিজেডের ইকো কোম্পানির শ্রমিক।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এভারগ্রিন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের পুরাতন শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো ইপিজেডের ফটকের সামনে অবস্থান নেন ওই কোম্পানিসহ ইপিজেডের অন্য কোম্পানির শ্রমিকরা। এ সময় সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এতে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে সেনাবাহানী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় উত্তোজিত কিছু শ্রমিক সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ শুরু করেন। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। আহতদের নীলফামারী হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে হাবিব নামে এক শ্রমিক মারা যান।
বর্তমানে ইপিজেড এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনসহ ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।