চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নিলেন দেড় হাজার শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম ব্যুরো
৩১ আগস্ট ২০২৫, ২১:৪২
শেয়ার :
চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নিলেন দেড় হাজার শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মেডিকেল সেন্টারে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৫০০ জনকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শিক্ষার্থী ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবি মেডিক্যাল সেন্টারের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ফারহানা পারভীন।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চবির মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ৫০০ জনকে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে ২৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপের আঘাতপ্রাপ্ত। একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগরের বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সেখানেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তার সহপাঠী আদনান শরীফ আসিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘রক্তক্ষরণের ফলে নাইমুলের সারা শরীর সাদা হয়ে গেছে। জুলাইয়ের চেয়েও নির্মম অবস্থা। জুলাইয়ে ইট-পাটকেল খাইছিলাম, কিন্তু এখন সরাসরি রমদা দিয়ে কোপানো হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে চিকিৎসা পসিবল না। দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। দোয়া কামনা করছি।’