লাগাম ছাড়া সবজির দাম, ভোগান্তিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা
দেশজুড়ে নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে সবজির দাম। লালমনিরহাটের বিভিন্ন হাটবাজারে এখন আলু–পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজি ৫০ টাকার নিচে নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা।
আজ রবিবার সকালে জেলার শিয়ালখোওয়া, চাপারহাট, নামুড়ী ও কাকিনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজারে চড়া দামের কারণে ক্রেতারা অল্প পরিমাণে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
বাজার দর (প্রতি কেজি)
করলা ৭০–০০ টাকা, টমেটো ১৬০–১৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০–৭০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০–৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও কচুরমুখী ৪০ টাকা। অন্যদিকে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০–১৭০ টাকায়। শুধু আলু (২০–২৫ টাকা) ও পেঁপে (২০–২৫ টাকা) কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতাদের।
ব্যবসায়ীদের দাবি
চাপারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, ‘বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ অনেক কম। বৃষ্টির কারণে অনেক ফসল নষ্ট হচ্ছে। নতুনভাবে সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম কমে আসবে।’
কাকিনার খুচরা বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমেছে ঠিকই, তবে বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজি মজুত রেখে দাম বাড়াচ্ছে। এতে আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়ছি।’
ভোক্তাদের ক্ষোভ
নামুড়ী বাজারে কেনাকাটা করতে আসা হাবিব মিয়া বলেন, ‘আগে ৩০০–৪০০ টাকায় ইচ্ছেমতো বাজার করা যেত। এখন ১ হাজার টাকা দিয়েও সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাজার করতে এলেই কাঁদতে হয়।’
তদারকির দাবি
সবজির লাগামহীন দামের জন্য ভোক্তারা সরকারি তদারকির দুর্বলতাকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, ‘বাজারে কার্যকর মনিটরিং থাকলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে পারতেন না।’ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।