মাউন্ট মানাসলু অভিযানে যাচ্ছেন বাবর ও তানভীর

পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ এর আয়োজনে বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ পর্বত মানাসলু (২৬,৭৮১ ফুট) অভিযানে যাচ্ছেন দুই পর্বতারোহী ডা. বাবর আলী ও তানভীর আহমেদ। ‘মানাসলু অ্যাসেন্ট: ভার্টিক্যাল ডুয়ো’ শীর্ষক এই অভিযানে এই দুই পর্বতারোহী চেষ্টা করবেন ‘মাউন্টেন অব দ্য স্পিরিট’ খ্যাত এই চূড়া আরোহণের। মানাসলু পর্বতের অবস্থান নেপালের মানসিরি হিমাল রেঞ্জে।

আজ শনিবার সকালে ঢাকার হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অডিটোরিয়ামে ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বাবর এবং তানভীরের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা।

সংবাদ সম্মেলনে তানভীর বলেন, ‘গত বছর ৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম অভিযানের পর থেকে আমি একটা আট হাজার মিটার পর্বতে যাবার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলাম। উঁচু পর্বতের চ্যালেঞ্জ নিতে আমি শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত।’

আরও পড়ুন:

রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

তানভীরের সহ-অভিযাত্রী বাবর বলেন, ‘এভারেস্ট-লোৎসে আরোহণের পর থেকে বিশ্বের ১৪টি আট হাজার মিটার পর্বত আরোহণের ইচ্ছা পোষণ করছি আমি। এ বছরের শুরুতে অন্নপূর্ণা-১ আরোহণের পর মানাসলু অভিযান সে লক্ষ্যের দিকে আরও একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। ধীরে ধীরে বাকি পর্বতগুলোর চূড়াও ছুঁতে চেষ্টা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ সেপ্টেম্বর মানাসলু অভিযানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন এই দুই পর্বতারোহী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানান সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে বেসিশহরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তাঁরা। দিনকয়েকের ট্রেক শেষ দুই পর্বতারোহী পৌঁছাবেন মানাসলু বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে এখান থেকেই। বেস ক্যাম্প থেকে উপরের ক্যাম্পগুলোতে উঠানামা করে শরীরকে অতি উচ্চতা ও নিম্ন তাপমাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নেবেন দুই অভিযাত্রী। মানাসলু অভিযানে সময় লাগবে প্রায় এক মাস। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেপ্টেম্বর মাসের ৩য় কিংবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান। অভিযান অপারেটর হিসেবে থাকছে নেপালের স্নোয়ি হরাইজন ট্রেক্স এন্ড এক্সপিডিশন।

আরও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবটির সভাপতি এবং অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ‘সামুদা’ এর চিফ বিজনেস অফিসার বিকাশ কান্তি দাস। সামুদা’র পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুল আজম এবং এ কে এম মাহমুদুল হাসান। এই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অভিযানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দুই পর্বতারোহীর পাশে দাঁড়িয়েছেন গিগাবাইট বাংলাদেশ, সিনো ভেস্ট, ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেড, সিয়েরা রোমিও ইন্টারন্যাশনাল এবং চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন। এছাড়াও দেশের পর্বতারোহণ মহলের পরিচিত মুখ ও পর্বত অনুরাগীরাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।