নিজের জুস পান করে জ্ঞান হারালেন ‘অজ্ঞান পার্টির হোতা’
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনে মা ও মেয়েকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে ‘অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা’ ফুল মিয়া (৫৫)। তবে যাত্রীদের তৎপরতায় হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে যাচাই করতে তাকে নিজের জুস পান করানো হলে তিনি নিজেও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাদের তিন জনকেই সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভোরে ট্রেনের ‘ঝ’ বগির ৭৮, ৭৯ ও ৭৭ নম্বর সিটে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মালঞ্চ গ্রামের ইশনী রায়ের স্ত্রী কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)। তারা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। আটক প্রতারক ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিরামপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন কৌশিলা রায় ও বীথি রানী। পাশের সিটে বসে থাকা ফুল মিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতার একপর্যায়ে মা-মেয়েকে জুস পান করান তিনি। জুস পান করেই তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এই সুযোগে ফুল মিয়া তাদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন।
এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করেন। বিষয়টি অন্যান্য যাত্রীদের অবহিত করেন। প্রথমে প্রতারক অভিযোগ অস্বীকার করলেও যাত্রীরা তাকে নিজের জুস পান করতে বাধ্য করেন। জুস পান করার পরে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, ‘দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুপুরে কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’
অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।