ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে অন্তত ২০টি নদী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে: হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে অন্তত ২০টি নদী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যৌথ নদী কমিশনে চিঠি দিয়েও ভারত থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাজ চিন্তা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আমাদের সময়ের সম্পাদক আবু সাঈদ খান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বিল্পবী ওয়াকার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জ্বালানি ও পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী বিনি রাহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক আইন দুর্বল হওয়ায় ছোট দেশগুলো ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভারতের স্পার নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের নদীতে তীব্র স্রোত তৈরি হয়ে বাঁধ ভেঙে যায়, আর নতুন বাঁধ দিতে গেলেই বিএসএফ বাধা দেয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হলেও নদী আজ সবচেয়ে অবহেলিত। অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা না পেয়ে এবং অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে দেশ ভয়াবহ পানি সংকটে পড়ছে। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার, ফারাক্কা ও গজলডোবা ব্যারেজের কারণে শুষ্ক মৌসুমে ভাটির দিকে পানি প্রবাহ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, নাব্যতা, জীববৈচিত্র্য ও মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তারা বলেন, দেশে প্রায় ১ হাজার ৪১৫টি নদী থাকলেও কতগুলো এখন জীবিত আছে তা সঠিকভাবে জানা নেই। নদী দূষণ, দখল, খাল ভরাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে বহু নদী খালে, খাল মরা খালে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর বাড়তি চাপের ফলে পানির স্তর প্রতিবছর গড়ে তিন মিটার নিচে নামছে; কোথাও কোথাও ৪০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে। ওয়ারপো কেবল পানি নীতির ওপর কাজ করছে, কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা বোর্ড গঠন জরুরি।