‘নুরের ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’

অনলাইন ডেস্ক
৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪৬
শেয়ার :
‘নুরের ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’

গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নুরের ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। জাতীয় পার্টি ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। তারা জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিল। এবারও তারা তাদের পুরোনো ইতিহাস উন্মোচন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে তবে জাতীয় পার্টি কেন পারবে না? তাই নিষিদ্ধ ঘোষণার যে দাবি উঠেছে, তা আইনগতভাবে যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ১৭ বছরের ক্ষোভ যেভাবে বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত।মবের মতো ঘটনা সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ন্ত্রণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা সর্বোচ্চভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া এই বাংলাদেশ এক যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিমরা জীবন দিয়েছে। এই নতুন বাংলাদেশে কোনো দুর্নীতিবাজকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। আমরা দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই।’

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পতিত সরকারের আমলে বেসরকারি স্কুল কলেজে কিভাবে নিয়োগ হয়েছে তা সবাই জানে। নিয়োগের নামে কারা টাকা নিয়েছে আপনারা প্রকাশ করুন। আমরা সব দুর্নীতিবাজদের মাটি খুড়ে বের করে আনার চেষ্টা করব।’

এর আগে সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে টেলিভিশন সেন্টার পাড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে শহরের সরকারি কেশবচন্দ্র (কেসি) মহাবিদ্যালয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাজিম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বকর সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর এবং গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।