মেডিকেল বোর্ড গঠন /
নুরের অবস্থা স্থিতিশীল: ঢামেক পরিচালক
রাজধানীর বিজয়নগরে সংঘর্ষে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার অবস্থা স্টেবল (স্থিতিশীল) রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আজ শনিবার সকালে তিনি জানান, নুরের নাকের হাড় ভেঙে গেছে। তার চোখের ওপরে আঘাত রয়েছে, মাথায় সামান্য রক্তক্ষরণ রয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আহত অবস্থায় রাতে যখন আনা হয় প্রথমে ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকরা নুরকে দেখেন। পরে সেখান থেকে তাকে ওয়াল স্টক ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) রাখা হয়। পরে রাতেই আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাতেই পাঁচ বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের পরামর্শে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
হাসপাতালের এই পরিচালক আরও বলেন, ‘নুর বর্তমানে স্টাবল রয়েছেন। তবে ৪৮ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত বলছি না। তার মস্তিষ্কে যে রক্তক্ষরণ রয়েছে, তা ওষুধে ভালো হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
জানা গেছে, নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় গঠিত ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন ঢামেকের পরিচালক, অ্যানেস্থিশিয়া বিভাগের প্রধান, ক্যাজুয়ালটি, নাক-কান-গলা, নিউরোসার্জারি ও চক্ষু বিভাগের একজন করে চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধাওয়া দিয়ে আল রাজী টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেওয়া গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হলে নুর গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে এ ঘটনায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানান। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়ান। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালান।
জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।