ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৮
শেয়ার :
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ আরও প্রায় ৮০ জন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্তের কারণে আগামী মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না আব্বাস। 

আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অভিযোগ করেছেন, ফিলিস্তিনিরা শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে এবং একটা ‘কাল্পনিক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতি’ চাইছে। এদিকে এইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবারের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ওই দেশগুলোর সিদ্ধন্তের দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করেছে। ফলে অধিবেশনের আগেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

রুবিও বলেছেন, ‘জাতিসংঘ সদর দপ্তরের চুক্তি অনুযায়ী নিউইয়র্কে থাকা ফিলিস্তিনি মিশনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। তবে ভিসা বাতিলের এই পদক্ষেপ ওই চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা স্পষ্ট নয়।’

তবে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় একে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরের চুক্তির সুস্পষ্ট পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে তার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বানও জানিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিচ বলেছেন, ‘সকল সদস্য রাষ্ট্র ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি, বিশেষ করে আসন্ন দুই-রাষ্ট্র সমাধানবিষয়ক বৈঠকের আগে।’

অপরদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’র এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সব সময়ই দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিরোধিতা করে আসছেন। তার দাবি, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসের সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে আটক করার পর গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েল। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, এরপর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৩ হাজার ছাড়িয়েছে।