প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারত-পাকিস্তান, কী এই মেঘভাঙা বৃষ্টি
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক এলাকা। আবহাওয়াবিদরা এই দুর্যোগকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলছেন। দুই দেশে এখন পর্যন্ত এই বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টি কী?
যখন কোনো একটি ছোট এলাকায় অল্প সময়ের মধ্যে ভয়ংকর বৃষ্টিপাত হয়, তখন তাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলে। ক্লাউডবার্স্ট কথাটার মধ্যে বার্স্ট থাকলেও মেঘ বার্স্ট করে না। যখন ঘন মেঘ খুব অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি করে, তখন তাকে ক্লাউড বার্স্ট বলা হয়। অনেকসময় একটা গোটা মাস ধরে যা বৃষ্টি হওয়ার কথা, তা একঘণ্টায় হয়ে যায়। এরফলে বন্যা হয়, ধস নামে, ভয়ংকর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
কী করে এই বৃষ্টি হয়?
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
যখন গরম হাওয়া পাহাড়ের উপরে ওঠে এবং হঠাৎ ঠান্ডা হয়ে যায়, তখন বৃষ্টি হয়। এর কেতাবি নাম ওরোগ্রাফিক লিফট। খুব কম সময়ে বিপুল বৃষ্টি হয়। অনেকসময় ঠান্ডা ও গরম হাওয়া যখন হঠাৎ একসঙ্গে মিশে যায় তখন উঁচু এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতা জমা হয়। এর ফলে মেঘ থেকে দ্রুত ও বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি হয়।
পাহাড়ে কেন হয়?
পাহাড়ে আর্দ্র হাওয়া দ্রুত উপরে ওঠে। হাওয়া যখন উপরে উঠছে, তখন তা দ্রুত ঠান্ডা হয়। আর্দ্রতা বৃষ্টিতে পরিণত হয়। পাহাড়, আদ্রতা, হঠাৎ হাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ার ফলে সমতলের তুলনায় পাহাড়ে এই বৃষ্টি বেশি হয়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মেঘভাঙা কতটা ভয়ংকর?
মেঘভাঙা বৃষ্টি খুবই ভয়ংকর। কারণ, এর ফলে আকস্মিক বন্যা হয়, তা বাড়িঘর, রাস্তা, সেতু ধ্বংসের কারণ হয়। ২০১৩ সালে ক্লাউডবার্স্টের ফলে কেদারনাথে চার হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। মেঘভাঙা বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়, ফোন লাইন বিকল হয়। মানুষ বাড়িঘর হারান। বনভূমির বিপুল ক্ষতি হয়। চাষের খেত কাদায় ঢেকে যায়। রাস্তাঘাট, সেতু ধ্বংস হয়।