সাবেক দেবরকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে হামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৫
শেয়ার :
সাবেক দেবরকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে হামলা

বিবাহ বিচ্ছেদ ও পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রবাসী যুবক ইয়াসিনের পরিবারকে হত্যার হুমকিসহ মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ইয়াসিনের ভাই আরিফ হোসেনকে তার অফিস থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নাটেশ্বর মির্জানগর এলাকার নূরনবী ডিপটির মেয়ে উম্মে সালমা মিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই এলাকার ইয়াসিন আরাফাতের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী মিমের উশৃঙ্খল জীবনযাপন ও দুর্ব্যবহারের কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। একপর্যায়ে মিম নিজেই ডিভোর্স চান। পরবর্তীতে ইয়াসিন গত মাসের ১৬ তারিখে আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্স সম্পন্ন করেন।

এরপর থেকে মিমের পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসিন ও তার পরিবারকে হুমকি দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে মিমের পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে চলতি মাসের ১৯ তারিখে তাদের বিয়ের কাবিনের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু টাকা গ্রহণের পরপরই মিমের বড় ভাই মো. মিরাজ ফোন করে ইয়াসিনসহ তার মা ও ভাই-বোনকে হত্যা করার হুমকি দেন। একই দিনে মিমের বাবাও ইয়াসিনের মায়ের কাছে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন।

হুমকির একদিন পর ২০ তারিখে মিরাজ ও তার সহযোগীরা ইয়াসিনের মেজো ভাই আরিফ হোসেনের বেগমগঞ্জস্থ অফিসে তাকে তুলে আনতে যায়। খবর পেয়ে আরিফ সেদিন অফিসে যাননি। কিন্তু এর কিছুদিন পর গত ২৪ তারিখে মিরাজ তার বাবা ও পরিবারের সহযোগিতায় কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আবারও আরিফের অফিসের নিচে অবস্থান নেন। তারা আরিফকে অপহরণ করে চৌমুহনী বাজারের একটি নির্জন গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে মিরাজ পিস্তল বের করে হত্যার চেষ্টা করে এবং এই ঘটনা নিয়ে মামলা করলে পুরো পরিবারকে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে আরিফকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনার পরপরই ইয়াসিনের পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ভুক্তভোগী ইয়াসিনের পরিবার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।

স্থানীয়রা এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।