ট্রাম্প চারবার ফোন করার পরও ধরেননি মোদি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৫:১২
শেয়ার :
ট্রাম্প চারবার ফোন করার পরও ধরেননি মোদি!

চারবার ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই ফোন ধরেননি। এমনটাই দাবি করেছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ফ্র্যাঙ্কফুর্টার অ্যালগেমাইনা জাইটুং পত্রিকা। কারও নাম না থাকলেও মার্কিন প্রশাসনের সূত্র উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়েছে, একবার নয়, গত কয়েকদিনে অন্তত চারবার নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কিন্তু মোদি একবারও সেই ফোন ধরেননি। শুধুমাত্র জার্মানির এই পত্রিকাটি নয়, জাপানের নিক্কেই এশিয়াও এই একই খবর করেছে। সেখানেও সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের ফোন ধরেননি মোদি, যার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সংকটাপন্ন হয়েছে। 

তবে ভারত কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন কিছু জানানো হয়নি। দুই দেশের গণমাধ্যমেও প্রত্যক্ষ সূত্র দিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা এবিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মার্কিন প্রশাসনও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। 

জার্মানি এবং জাপানের সংবাদমাধ্যমের এই খবর নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ভারতের পত্রিকা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ওয়াশিংটন ডেস্ক লিখেছে, ‘ট্রাম্প অনেক সময়েই নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে বিশ্ব নেতাদের ফোন করেন। ফলে হোয়াইট হাউস সব সময় তার ফোন ট্র্যাক করতে পারে না। এনিয়ে মার্কিন প্রশাসন চিন্তিত। তারা প্রেসিডেন্ট এবং তার ফোন কল কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে ভাবিত।’

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দাবি, ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মন্তব্য, ট্রাম্প যদি মোদিকে ফোন করেও থাকেন, তাহলে তা তিনি নিজের মোবাইল থেকে করেছিলেন, ওভাল অফিস থেকে নয়। ভারতে প্রশাসনিক প্রোটোকল অত্যন্ত বেশি। ভারতের নেতা-মন্ত্রীরা সেই প্রোটোকল মেনে চলেন। ফলে মোবাইল থেকে ফোন এসেছিল বলে মোদি ধরেননি, এমন চিন্তাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এবিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনো কথা বলা হয়নি। মোদী কিংবা দলের কোনো নেতাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর প্রকাশ করেছে। সেখানেও বলা হয়েছে, যদি এই খবর সত্যি হয়, তাহলে তার প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কে পড়বে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদিকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে। ট্রাম্প একাধিকবার মাধ্যমে দাবি করেছেন, তার মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ হয়েছে। পাকিস্তানও তা মেনে নিয়েছে। তবে ভারত দাবি করেছে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘাত আপাতত বন্ধ হয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। ভারত বিভিন্ন মঞ্চে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা অস্বীকার করায় তার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কেও।