পুশইনের অপেক্ষায় শত শত নারী-পুরুষ-শিশু
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইনের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করেছে। এছাড়া বিএসএফ ওই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আরও শতাধিক নারী-পুরুষ বাংলাদেশিকে পুশইনের জন্য জড়ো করেছে।
গত মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি) এর অধীনস্থ বাশালগাঁও বিওপি দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৫১/১-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠায়। এ সময় বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে।
৪২ বিজিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন ২ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা এবং ৫ জন শিশু।
আটককৃতরা হলেন মো. তবিবুর রহমান (৩৮), তার স্ত্রী শামীমা খাতুন (২৬), সন্তান আয়ান শেখ (৩), রেশমা খাতুন (৩৫), সুমাইয়া খাতুন (১৬), লামিয়া খাতুন (১১) ও সামিয়া খাতুন (৮)। মো. আকতারুল ইসলাম (৩৩), তার স্ত্রী আঁখি আক্তার (২৪), সন্তান তাজিম উদ্দিন (৯) ও আয়াত খাতুন (৫)। তাদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার বিভিন্ন গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা প্রায় ৫/৬ বছর আগে কাজের সন্ধানে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন । প্রায় ৮/১০ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে সীমান্তে হস্তান্তর করে।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন ও অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করে তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে গতকাল কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি জানায়, হরিপুর সীমান্তে মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে তাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
অপরদিকে, ভারতে যাতায়াতের মাধ্যমগুলো নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান, ভারতীয় বিএসএফ শতাধিক বাংলাদেশিকে পুশইনের জন্য হরিপুর সীমান্তের তারকাটা বেড়ার ওপারে গত দুই দিন ধরে এখনও অবস্থান করছে।