আরেক চাঁদাবাজির মামলায় সেই সমন্বয়করা রিমান্ডে
গুলশান থানার ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলার পর এবার রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ ৪ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন রিয়াদের তিন সহযোগী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদমান সাদাব।
গত ২০ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর নাজমুল জান্নাত শাহ তাদের ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক নাজমুল জান্নাত শাহ। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণী থেকে, আবুল কালাম আজাদের একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ২৬ জুন বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে রিয়াদসহ অপরাপর আসামিরা তেজগাঁও থানাধীন এলাকায় তার অফিসে গিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শেখ হাসিনার দোসর উল্লেখ করে সেনাবাহিনী দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার এবং মব সৃষ্টি করে রাস্তায় নামিয়ে বেইজ্জতির হুমকি দেয়।
তারপর তারা মব সৃষ্টি করে আবুল কালাম আজাদের অফিসের ড্রয়ার খুলে ১১টি চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকার চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর রিয়াদ আবুল কালাম আজাদকে ফোন করে হুমকি দিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে বলে। না হলে পুলিশ নিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি