গ্যাস সংকটে আড়াই মাস ধরে বন্ধ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
২৭ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৩
শেয়ার :
গ্যাস সংকটে আড়াই মাস ধরে বন্ধ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

গ্যাস সংকটের কারণে আড়াই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এক হাজার ৬১০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার ৭টি ইউনিটই বর্তমানে অচল অবস্থায় থাকায় জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিদ্যুৎ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহে সংকট চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫ নম্বর ইউনিট, ১৩ জুন ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪ নম্বর ইউনিট এবং ১৪ জুন ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭ নম্বর ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প উপায়ে গ্যাস সংযোগের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, ‘৪, ৫ ও ৭ নম্বর ইউনিটে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই। গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেলেই ইউনিটগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পুনরায় উৎপাদনে ফিরতে সক্ষম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনের শুরুতে ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নম্বর ইউনিটের টারবাইনের রোটারের ব্লেডে সমস্যা দেখা দেয়। মেরামতের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ চালু হলে এ ইউনিট থেকেও পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের জুন মাসে অগ্নিকাণ্ডে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬ নম্বর ইউনিটের টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১ এবং ২ নম্বর ইউনিট দীর্ঘদিন ধরেই অকার্যকর হয়ে আছে। বর্তমানে ৩ নম্বর ইউনিট মেরামতের শেষ ধাপে থাকলেও গ্যাস সংকটে পুরো বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শূন্য মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।’ 

দেশের সবচেয়ে বড় এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।