জম্মু-কাশ্মীরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩১
ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার কাটারা শহরে অবস্থিত বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরের কাছে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৩০ জনে। কাদা-মাটি ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকের মরদেহ চাপা পড়ে আছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যায়, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২৩ জনকে। তাদেরকে কাটারা শহরের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিএইচসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, রিয়াসি জেলা পুলিশের প্রধান পরমবীর সিং হতাহতের এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
পরমবীর সিং বলেন, ‘উপদ্রুত বেশিরভাগ এলাকার সড়ক যোগাযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বা অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেসব এলাকাতেও উদ্ধারকারী বাহিনী পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও জানা যায়, ভারী বৃষ্টির জেরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মন্দিরের যাত্রাপথে অবস্থিত ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয় এবং তার আশেপাশের এলাকায় ধস নামায় আতঙ্ক দেখা দেয় পূন্যার্থীদের মধ্যে। ধসের পরপরই মন্দির কমিটি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতায় নামেন। কিছু সময় পর এতে যুক্ত হয় ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী বাহিনী এনডিআরএফ এবং আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের সদস্যরা।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে শিগগিরই জম্মু-কাশ্মিরের আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। আইএমডি’র সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরও অন্তত দু’-তিন দিন এমন থাকবে জম্মু-কাশ্মিরের আবহাওয়া এবং অনেক অঞ্চলে আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর পাশাপাশি কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশ্তওয়াড় জেলায় ভূমিধস এবং হড়পা বানের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
এদিকে এনডিআরএফের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে যেন যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া যায়।’