অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে ক্যাম্পাসগুলো সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে: ড. বদিউল
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা বলছি যে, তাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিলুপ্ত করার কথা। কারণ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন থেকে আমাদের শিক্ষাঙ্গনগুলো- সেই সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে এবং এটা আমাদের বর্তমানে আরপিওতে আছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এটা আমরা ২০০৭-এ অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম, আরপিওতে আছে যে- দলের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিধান থাকবে না, কিন্তু দলগুলো যেটা করেছে, তাদের গঠনতন্ত্র থেকে এটা বাদ দিয়েছে; কিন্তু ওই সংগঠনগুলো একই কাজ করছে ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নামে। যদিও আকাঙ্ক্ষা ছিল- এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো, এই সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো বিলুপ্ত করা। রাজনৈতিক দলগুলোকে এগুলো করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র চাই, রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বলেছি- প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের প্রত্যেকটা কমিটি নির্বাচিত হবে তাদের সদস্যদের ভোটে, কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো আমরা উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘তারপরে আমরা বলেছি রাজনৈতিক দলের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক স্বচ্ছতা- রাজনৈতিক দলে কোথা থেকে অর্থকড়ি পাচ্ছে এবং কীভাবে খরচ করছে, এগুলো যেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে খরচ হয় এবং ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে এটা এগুলো গ্রহণ করা হয়। এরপরে কোনো উদ্যোগ দেখছি না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
দলীয় মনোয়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনতে দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব করেছি যে, ভবিষ্যতে যখন নির্বাচন হবে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেবে। তাদের সদস্যরাই প্যানেল তৈরি করবে। সেই প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর এখন চর্চার সময় এসেছে, কিছু পরে চর্চা করতে হবে, কিছু এখন চর্চা শুরু করতে হবে।’