নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের এক সপ্তাহ আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবে দুই-একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তির চেষ্টা করছে, এটি তাদের কৌশল হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা করছি। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ঐতিহাসিক ঘটনা হবে এবারের নির্বাচন।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি ও গণপরিষদের দাবি রাজনৈতিক কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাঠ গরম করার জন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল এসব বক্তব্য দিচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘দেশে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। যারাই এর বিপক্ষে কথা বলবে, তারা রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে যাবে। কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে এটি তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা। যারা বাহানা দিয়ে বয়কট করবে, তারা ভবিষ্যৎ রাজনীতি থেকে নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
জুলাই সনদ সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই সনদে অঙ্গীকারনামার কিছু বিষয় অযৌক্তিক মনে করছে বিএনপি। আমাদের নিজেদের বিকল্প প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনে আলোচনার সময় দেওয়া হবে। জুলাই সনদ সংবিধানের ওপরে স্থান পায় এমন কোনো বিষয় গ্রহণযোগ্য হবে না। আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটি অবস্থানে পৌঁছাবে বলে প্রত্যাশা করি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা চায় না বিএনপি। সবার ঐকমত্যে এই সরকার গঠিত হয়েছে। তত্বাবধায়কের বিষয়টি পুনর্বহাল হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচনে সেটি কার্যকর হতে পারে। এই সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করি, অন্যকিছু ভাবার অবকাশ নেই।’
নির্বাচনী জোট গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই, তবে যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে জোট হতে পারে। আগামীর সরকারেও তারা থাকতে পারে। এ ছাড়া কয়েকটি ইসলামি ঘরানার দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে জোট হতে পারে। তবে সেটি চূড়ান্ত নয়। এর বাইরে বিগত আন্দোলনে যারা ছিল তাদের সঙ্গেও জোট হতে পারে, সেটি আলোচনার পর।’