হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে: খোরশেদ

অনলাইন ডেস্ক
২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১৩
শেয়ার :
 হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে: খোরশেদ

সীমানা দাবি পুনর্বিবেচনা না করে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরের আগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪, ৫ আসনের আপত্তি আবেদনের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘এখানে আমি প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম। আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন) আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। সেই বঞ্চনার কথা উপস্থিত কমিশনকে আমি জানিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এ আসনে সমন্বিতভাবে রাজনীতি হলেও এখন বৈষম্য বাড়বে। এখন যদি একটা বিরাট অংশ বিভক্ত হয়ে সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে চলে যায়। আমরা এতদিনে যেই নেতাকর্মী তৈরি করেছি তাদের মধ্যে অনেকে প্রার্থী আছে। আমরা সবাই বঞ্চিত হব।’

করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের দাফন করে আলোচনায় আসা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে যে প্রশাসনিক অখণ্ডতার কথা বলা হয়েছে, সেই অখণ্ডতার বিষয়টা পুরোপুরি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের সুবিধার্থে আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে। যদি না করে তাহলে জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এই ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলো হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। পূর্ব নির্ধারিত যে সীমানা ছিল, সেই সীমানায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় অ্যাডভোকেট মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত পাঁচ আসনের ভেতরে তিনটি থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে—সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এখন বন্দরের একাংশ। তিনটি থানা নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে একটা ফুটবলের মতো হয়ে গেছে। আমরা প্রথমে ছিলাম নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের, পরবর্তী সময়ে গেছি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আর ২০০৮ সালের পরে আমাদের দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে। এখন নতুন করে আমাদের প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে যে আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত। আমরা চাই সোনারগাঁয়ের সঙ্গে থাকতে। ২০০৮ সালে সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে আসন ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩, তেমনি করতে হবে।’