সাত ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
দীর্ঘ প্রায় ৭ ঘণ্টা পরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এর আগে এই মহাসড়কটিতে মধ্যরাতের পর থেকে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু হয়ে মেঘনা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট ছিল। এর কারণ হিসেবে হাইওয়ে পুলিশ দাউদকান্দি এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ও ট্রাকচালকদের মহাসড়কে ওপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কথা জানায়। তবে ভোর থেকেই হাইওয়ে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। পরে সকাল থেকে ধীর গতি নিয়ে শুরু হয় যান চলাচল।
এদিকে এ ঘটনায় শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নয়, এর প্রভাব পড়েছিল আশপাশের সড়কগুলোতেও। যাত্রাবাড়ি থেকে তারাবো এবং বনশ্রী থেক স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়ে এ সময়। যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। পরবর্তীতে সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদির জিলানি আমাদের সময়কে বলেন, ‘ট্রাকচালকদের ডেকে ডেকে ঘুম থেকে জাগিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে এই সড়কে যান চলাচলা পুরো স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুরবস্থার কারণে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যার প্রাভাব অনেক সময় শিমরাইল-সাইনবোর্ড সড়কেও পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম সহাসড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে হরহামেশাই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। তারা সড়ক সংষ্কারও করেছিল। তবে বর্তমানে আবারও সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছে। যেই সড়কটি দিয়ে বর্তমানে যানবাহন চলছে সেটিরও খুবই দুরবস্থা। বিভিন্ন জায়গাতেই বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। যার কারণে যানবাহন চলাচল করছে ধীর গতিতে। এতে করে এই সড়কে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকছে।’