রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তাবিত আসন বিন্যাসের শুনানিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের হাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আগামী তিনদিনের মধ্যে রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকার ডাকবাংলো মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা। এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের শুনানিকালে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো. আতাউল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর রুমিন ফারহানার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে তারা রুমিন ফারহানাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘রুমিন ফারহানা ও তার সহযোগীরা গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাসী কায়দায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের শুনানিস্থলকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে তারা প্রমাণ করেছেন জনগণের রায়ের উপর তাদের আস্থা নেই। আমাকে ম্যানেজ করার জন্য ইসির শুনানিতে আমার নামই রাখা হয়নি। তারা জানে না জুলাইযোদ্ধারা কখনো ম্যানেজ হয়নি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিজয়নগরের ইউনিয়ন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিজয়নগরের ১০টি ইউনিয়নকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই আমরা। কিন্তু রুমিন ফারহানা রাতের অন্ধকারে তিনটি ইউনিয়ন সরিয়ে নিজের আসনে যুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।’
আওয়ামী সরকারের সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করার অভিযোগ তুলে আতাউল্লাহ বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনে অন্ধকারে ভোটের মাধ্যমে এমপি হয়েছিলেন রুমিন ফারহানা। তখন তিনি সরকারের সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন। এখন তিনি বিজয়নগরের চান্দুরা, বুধন্তী ও হরষপুর ইউনিয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। যা কোনোভাবেই বিজয়নগরবাসী মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো. আতাউল্লাহ, বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রাষ্টু সরকার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান এবং এনসিপির নারী নেত্রী জয়ন্তী বিশ্বাস প্রমুখ।