মেট্রোরেলের ১৪ স্টেশনে রিটেইল শপ ভাড়ার ঘোষণা, যেভাবে মিলবে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৪টি মেট্রোরেল স্টেশনে (আগারগাঁও ও কারওয়ান বাজার ছাড়া) ৩১টি রিটেইল শপ ভাড়া প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে ‘ডিএমটিসিএল-এর বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া/ইজারা নীতিমালা ২০২৩ (১ম সংশোধনীসহ)’ অনুযায়ী।
ডিএমটিসিএল জানায়, যাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াতের সময় যাতে প্রয়োজনীয় সেবা ও পণ্য সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে এসব রিটেইল শপ চালু করা হবে। এ উদ্যোগে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্র্যান্ডগুলোর জন্য ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
ভাড়া নিতে আগ্রহীরা আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে মেট্রোরেল ভবনের (রুম নং ৩১৯, লেভেল-৩, দিয়াবাড়ি, উত্তরা) অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি ফরমের মূল্য ৫,০০০ টাকা, যা পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে (অফেরতযোগ্য)।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আবেদনকারীদের জন্য একটি প্রি-বিড ব্রিফিং সভা ও সাইট ভিজিট অনুষ্ঠিত হবে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সকাল ১০টায়, ডিএমটিসিএল সম্মেলন কক্ষ (লেভেল-৫, দিয়াবাড়ি, উত্তরা) এ। আর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকাল ৩টা।
আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া নেওয়ার জন্য কিছু মৌলিক যোগ্যতা থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে-
হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট এবং আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত গত ১ বছরের লেনদেন বিবরণী ও আর্থিক সচ্ছলতার সনদপত্র।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এছাড়া, আবেদনকারীকে তার ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হবে, কীভাবে পরিচালনা করা হবে এবং জনবল কাঠামো কেমন হবে-এসব বিস্তারিত তথ্য আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। পরিকল্পনায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিরাপত্তা ও নান্দনিকতা অগ্রাধিকার পাবে।
চুক্তির প্রাথমিক মেয়াদ হবে ৫ বছর। আবেদন জমার সময় বার্ষিক ভাড়ার ১৫ শতাংশ জামানত জমা দিতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে বার্ষিক ভাড়ার ২০ শতাংশ নিরাপত্তা জামানত ও ১ বছরের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। প্রতি বছর ভাড়া ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ দরদাতাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে। প্রয়োজনে দরদাতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে ডিএমটিসিএল। তবে আবেদনকারীর প্রদত্ত কাগজপত্রে কোনো জালিয়াতি প্রমাণিত হলে প্রস্তাব বাতিলের পাশাপাশি জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।
বিস্তারিত শর্তাবলী ও তথ্য পাওয়া যাবে ডিএমটিসিএল-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.dmtcl.gov.bd)।