ইউক্রেনের বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ ছাড়’ দিয়েছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:২২
শেয়ার :
ইউক্রেনের বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ ছাড়’ দিয়েছে রাশিয়া

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ছাড় দিয়েছে।’ তবে ক্রেমলিনকে শান্তির পথে আনতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনাও বাতিল করেননি তিনি।

রবিবার এনবিসি’র মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্সকে প্রশ্ন করা হয়, রাশিয়া কি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় নষ্ট করছে? জবাবে ভ্যান্স বলেন, ‘না, রাশিয়া কিছু মূল দাবিতে নমনশীল হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরেরও বেশি সময়ে চলমান এই সংঘাতে প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ছাড় দিয়েছে। তারা কিছু মূল দাবিতে নমনশীল হয়েছে এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য যা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করেছে। অবশ্য তারা পুরোপুরি পৌঁছায়নি, নাহলে যুদ্ধ শেষ হয়ে যেত। তবে আমরা এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সৎ বিশ্বাসে এগোচ্ছি।’

এই মন্তব্যগুলো রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান শান্তি আলোচনা এবং সম্ভাব্য কূটনৈতিক প্রয়াসের উপর আলোকপাত করছে।

ভ্যান্স আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় রাশিয়ানদের সঙ্গে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আবার কখনো কখনো হাতাশও হই। যেমন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি রাশিয়ানদের প্রতি খুব হতাশ।’

ভাইস প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি কেন মনে করেন রাশিয়া শান্তি চাইছে, যদিও রাশিয়া ট্রাম্পের প্রস্তাবিত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে কোনো পরিকল্পিত বৈঠক হয়নি।

জবাবে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি বলিনি যে তারা সবকিছু মেনে নিয়েছে। কিন্তু তারা যা স্বীকার করেছে তাতে এটা বলা যায় যে- যুদ্ধের পরে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা থাকবে। তারা স্বীকার করেছে যে তারা কিয়েভে একটি পুতুল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। অবশ্যই, এটি শুরুতে একটি প্রধান দাবি ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তারা স্বীকার করেছে যে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য কিছু নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকবে।’

ভ্যান্স এনবিসিকে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সম্ভব, তবে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘না, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনার বাইরে নয়। তবে আমরা কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেব।’