লজ্জা-অপমানে স্বরূপকাঠিতে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় লোক-লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে কলেজছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নেছারাবাদ সদর ইউনিয়নের আউরিয়া গ্রামে ।
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী উপজেলার আউরিয়া গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো.জাহিদ হোসেনের মেয়ে। তিনি আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হন।
প্রতিবেশিরা জানান, এক মাস আগে কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর বিয়ে পাকা কথা হয়। এর মাঝে কে বা কারা এ বিয়ে ভাঙ্গানির জন্য পাত্রপক্ষের কাছে ঐশীর কপালে টিপ ও টি-শার্ট পরিহিত একাধিক ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠায়। পাত্রপক্ষ ছবিগুলো দেখে তা মন্দ ভেবে বিয়ে ভেঙে দেয়। সেই কারণে ঐশী অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নার্সারি ব্যবসায়ী ঐশীর বাবা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গত এক মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ছেলে পক্ষের কাছে ঐশীর কপালে টিপ ও টি-শার্ট পরিহিত একটি ছবি কে বা কারা পাঠিয়েছে জানিনা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কথা জানায়। এটা আমার মেয়ে সহ্য করতে পারেনি। তাই এই লজ্জায় কাউকে না জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সকলের অগোচরে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আমার মেয়ে। শুনেছি সন্ধ্যার আগে সে স্থানীয় আইয়ুব আলীর দোকান থেকে মোবাইলের জন্য এমবি কার্ড কিনে বাসায় এসে কার সঙ্গে যেন ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করেছে।’
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লিমা আক্তার বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনা সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। আজ রবিবার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’