পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন এনসিপি নেতারা
ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ যেসব বিষয় উন্নয়ন করা যায়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক হবে ভ্রাতৃত্বের, কোনো হেজিমনি (আধিপত্য) থাকবে না।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক হয় এনসিপির। আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘পাকিস্তান দূতাবাস থেকে আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণের চিন্তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আগে যে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক ছিল, সেখান থেকে উন্নতির সুযোগ আছে। একাত্তরের ইস্যু অবশ্যই ডিল করা উচিত।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় একটা যুদ্ধ হয়েছিল। পানি নিয়ে এই অঞ্চলে আবার যদি কোনো যুদ্ধ আসে বা আমাদেরও অনেকগুলো নদী রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। নদীমাত্রিক দেশ, আমাদের নদীগুলো কীভাবে ভালো থাকতে পারে এবং পাকিস্তানও যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে, সেই অভিঙ্গতাও আমরা শেয়ার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘ওনারা একটা জিনিস আমাদের বলেছেন, গত ১৫-২০ বছরে তারা অনেকভাবে চেষ্টা করেছে, বিল্ডিং রিলেশনশিপ করে আমাদের কস্টটা ব্যয় আরও কমিয়ে আমরা যাতে আরও বেশি রপ্তানি করতে পারে। পাকিস্তানের ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরের ম্যাটারিয়্যালসগুলো অনেক ভালো। সেই সুযোগটা আমাদের দুই দেশের মধ্যে হয়নি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের কালচারাল হাউস করা নিয়ে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামগুলো কীভাবে ডেভলপমেন্ট করা যায়, ডিফেন্স সেক্টরে কীভাবে করা যায় সেসব নিয়ে কথা হয়েছে।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘একাত্তর সম্পর্কিত ইস্যুর পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের সাথে অন্যান্য দেশে পররাষ্ট্রনীতি কীভাবে হবে, দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ককে কীভাবে আরও সক্রিয় করা যায় এবং এখানে একটা ইস্যু উঠে এসেছে ভারতের কারণে সার্কটা নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে, এ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানেরও প্রভাব রয়েছে, তারাও পারমাণবিক শক্তিধর।’