ভেনিজুয়েলায় মার্কিন সেনা মোতায়েন নিয়ে যা বললেন মাদুরো
মাদক পাচার রোধের প্রচেষ্টার অংশ দাবি করে ভেনিজুয়েলার উপকূলে তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের মার্কিন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি এই অভিযানকে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের একটি 'অবৈধ' প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে, তিনটি এজিস-শ্রেণীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির আন্তর্জাতিক জলসীমার দিকে যাচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ৪ হাজার মেরিন সেনা সদস্যও মোতায়েন করা হতে পারে।
মাদুরো আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে তারা শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন, সামরিক সন্ত্রাসী হামলা করার হুমকি দিচ্ছে, যা অনৈতিক, অপরাধমূলক এবং অবৈধ।’ তিনি বলেন, ‘এটি ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের জন্য শান্তির, আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়। যে কেউ ল্যাটিন আমেরিকার কোনও দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চলালে তা এ অঞ্চলের সমস্ত দেশকে আক্রমণের সামিল।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
২০২০ সালে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, মাদুরো এবং ভেনিজুয়েলার অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদ’ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণসহ বেশ ক’টি অভিযোগে মার্কিন ফেডারেল আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মাদুরোর ওপর চাপ বাড়িয়েছে, এই মাসের শুরুতে বামপন্থী এই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তারে সহায়তার পুরস্কার দ্বিগুণ করে ৫ কোটি ডলার করেছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস